গোরক্ষপুরঃ রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে বিজেপি ও তৃণমূলের সাপ-নেউলের সম্পর্ক হয়ে উঠেছে। তৃণমূল ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় জয়ের পর থেকে ভারত জুড়ে নিজেদের শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে শুরু করেছে। এবং একটি রাজ্যভিত্তিক এই দলটির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির প্রতিপক্ষ দলগুলো।
এখনও পর্যন্ত প্রতিটি বিরোধী নেতাই একবাক্যে স্বীকার করে যে, বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হল যোগীরাজ্য। রাজনীতিবিদদের কথায় উত্তরপ্রদেশ জয়ই হল দিল্লির দরবারে পৌঁছানোর রাস্তা। ঠিক এই বিষয়টা মাথায় রেখেই তৃণমূল কংগ্রেস এবার উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় দলীয় কার্যালয় খুলে ফেলছে। তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই বুঝেছেন দিল্লি জয় করতে হলে বাংলা সহ আরও অনেকগুলি রাজ্যেই নিজেদের দলের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হবে। তাই সেই লক্ষ্যস্থির রেখে উত্তরপ্রদেশের বরেলি, মোরাদাবাদ, আলিগড়, আগ্রা, গোরক্ষপুর, আজমগড়, বারাণসী, মির্জাপুর, এলাহাবাদে ঘাসফুল শিবির খুলে ফেলেছে পার্টি অফিস।
বাংলার মসনদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসতেই তৃণমূল সাপোর্টাররা ট্যুইটারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই ট্রেন্ড চালু করেছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে ২০২৪ সালে কেন্দ্র থেকে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে সাফ করতে আদাজল খেয়ে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তর প্রদেশেরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও বিজেপির এসেছিলেন বাংলায় প্রচারে। এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগীজীকে কখনোই সুনজরে দেখেন না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যোগীর প্রতি তাঁর ক্ষোভ তিনি প্রকাশ করেছেন। এবার সেই যোগীর খাসতালুকে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় খোলার পর উত্তর প্রদেশের নেতা নীরজ রাই জানিয়েছেন, উৎসাহিত কর্মীরা নিজেরাই দলীয় কার্যালয় খুলেছে।
তিনি জানান, বাংলার ভোটে বিজেপিকে পরাস্ত করার কৌশল দেখে উত্তরপ্রদেশেও মানুষও দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়ে পড়েছে। তাই এখানে দলীয় কার্যালয় খোলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও ত্রিপুরা, ওড়িশা, অসম, মণিপুর, বিহার, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডে জালবিস্তার করতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
The post ২০২৪-র নির্বাচনে মোদী-যোগীকে হারাতে উত্তর প্রদেশে পার্টি অফিস খুলল তৃণমূল first appeared on India Rag .from India Rag https://ift.tt/3hBzqMz