কলকাতাঃ ক্ষমতায় ফিরতে আব্বাসকে জোটে টেনেছে বামেরা। এমনকি আব্বাসের আবদার মতো নিজেদের গড় ছেড়ে দিয়েছে আলিমুদ্দিন। তবে এবার আব্বাসকে নিয়ে বামেদের মধ্যে শোনা যাচ্ছে বিক্ষোভের সুর। রবিবার ব্রিগেডের সভা থেকে তৃণমূল-বিজেপিকে নিশানা করেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার দলের প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী। এর পাশাপাশি জোটের আরও একটি বড় দল কংগ্রেসকে ঘুরপথে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
বামেদের সঙ্গে আসন রফা হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে এখনও আসন নিয়ে সমঝোতা হয়নি আব্বাসের। আর সেই কারণে তিনি মঞ্চ থেকে অধীর চৌধুরী আর ভূপেশ বাঘেলের উপস্থিতিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি মাথা নোয়াতে আসেন নি। এসেছে নিজেদের অধিকার কেড়ে নিতে। আর এরজন্য তিনি কাউকে তোষণ করবেন না। আব্বাস সিদ্দিকীর এই মন্তব্য যে বামেদের জোট সঙ্গী কংগ্রেসের জন্যই ছিল, সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আজ বাম-কংগ্রেসের বৈঠকের পর প্রেস বার্তায় ডাকেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেখানে থেকে তিনি কারোর নাম না নিয়ে বলেন, ‘জোটে সবার সম্মতি থাকে। সবার বক্তব্যও থাকে। এর বাইরে কিছু বলা ঠিক নয়। আশাকরি এটা সবাই বুঝবেন। আর পরবর্তী কালে এমন কিছু করবেন না।” বিমান বসু ইঙ্গিতে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন যে, গতকাল আব্বাস সিদ্দিকী ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে যা বলেছিলেন, সেটা তিনি সমর্থন করছেন না।
আরেকদিকে, ব্রিগেডের পর প্রদেশ কংগ্রেস অভাপতি অধীর চৌধুরীও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি সাফ কথায় জানিয়ে দেন যে, মুর্শিদাবাদ আর মালদহ থেকে আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে একটিও আসন ছাড়বেন না। মুর্শিদাবাদ আর মালদহ একদিকে যেমন মুসলিম বহুল এলাকা, তেমনই আরেকদিকে এটি দুটিতে কংগ্রেসের শক্তি অনেক বেশি। তাই এই দুই জেলায় আব্বাসদের কোনও আসন দিতে রাজি নন অধীরবাবু।
আরেকদিকে, কংগ্রেসের সাংসদ আনন্দ শর্মাও আব্বাস সিদ্দিকীকে জোটে নেওয়া নিয়ে আপত্তি জাহির করেছেন। যদিও দলীয় সাংসদ আনন্দ শর্মার মন্তব্যে একমত নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আনন্দবাবু পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন।
The post আব্বাসের বিরুদ্ধে ঘুরপথে সোচ্চার হলেন বিমান বসু, জোট কি আদৌ হবে সেটা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন first appeared on India Rag .
from India Rag https://ift.tt/3b17O0e
Bengali News