বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আর নেই। ২৪ আগস্ট, তিনি দিল্লির এইমস-এ 12.07 মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানিয়ে দিযে ৯ই আগস্ট উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মোদী সরকারের প্রথম মেয়াদে অরুণ জেটলি বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি চমৎকার ভাবে কাজ করার জন্য পরিচিত হয়েছিলেন। নিজের প্রথম মেয়াদে মোদী সরকার অনেক বড় এবং কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্ত গুলিকে ঠিকভাবে পূরণ করার জন্য অরুণ জেটলি একটি সম্পূর্ণ কৌশল প্রস্তুত করেছিলেন।
বিজেপি পার্টির সরকারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে আস্থাভাজন এবং ঘনিষ্ঠ ছিলেন অরুণ জেটলি। নোট-বন্দি এবং GST মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য তাকে সর্বদা স্মরণ করা হবে। কারণ এই জাতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস আগে কেউ দেখায়নি। আমরা আপনাদের জানিয়ে দি যে, জেটলি অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ৬ টি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যা সোজাসুজি সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্কিত ছিল।
জিএসটি:
জিএসটি-র অর্থ হলো একটি জাতি, একটি কর। তবে এটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তটি এত সহজ ছিল না। পূর্ববর্তী সরকারগুলিতে এটি শুধু আলোচিত হয়েছিল, কিন্তু এটির পক্ষে সমর্থন দিয়েছিলেন শুধুমাত্র অরুণ জেটলি। আজ গোটা দেশে জিএসটি-র গাড়ি সঠিক পথে চলছে এবং এটি কেবলমাত্র অরুণ জেটলির কারণে সম্ভব হয়েছে।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা:
2018-19 সালের বাজেটের বক্তৃতায় অরুণ জেটলি জানিয়েছিলন যে 2015 সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সফল হয়েছে। এই স্কিমটি বেটি বাঁচাও-বেটি পাঠাও প্রকল্পের ভিত্তিতে চালু করা হয়েছিল। এই যোজনাটি হলো যে কোনো ব্যক্তি সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার অধীনে 10 বছরের কম বয়সী তার মেয়ের জন্য তিনি কেবল 250 টাকা জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
অর্থ পরিকল্পনা:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প ছিল’মুদ্রা যোজনা’। এই যোজনাটিকে লনচিং থেকে শুরু করে সাফল্য করা পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় প্রচুর অবদান আছে এবং অরুণ জেটলি সফলভাবে এটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আয়ুষ্মান ভারত:
‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’ মোদী সরকারের একটি বড় অর্জন। 2018-19- এর সাধারণ বাজেট উপস্থাপনের সময় এই স্কিমটি অরুণ জেটলি চালু করেছিলেন।
জন ধন যোজনা:
জন ধন যোজনার কারণে, আজ দেশে 35.39 কোটি মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। জন ধন যোজনা মোদি সরকার ২০১৪ সালে চালু করেছিলেন এবং এই স্কিমটিকে সফল করার কাজটি করেছিলেন অরুণ জেটলি।
নোটবন্দী:
আজও দেশের জনগণ নোটবন্দীকে ভোলেনি। ৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী মোদী নোটবন্দীকরণের ঘোষণা করেছিলেন এবং 1000 ও 500 টাকার মুদ্রাকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিরও বড় ভূমিকা ছিল।
from India Rag Bengali : Bengali News, Bangla News, latest bengali news, Bangla Khobor, Bangla, বাংলা খবর https://ift.tt/2KS0zKQ
Bengali News