২৬ জানুয়ারি ১৯৯২, স্থান- লাল চক….!
আতঙ্কবাদীরা ঘোষণা করেছিল যে, যদি কেউ লাল চক, শ্রীনগরে এসে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তাহলে সে বেঁচে ফিরবে না। আতঙ্কবাদীদের এই ঘোষণাকে পূর্ন সমর্থন দিয়েছিল হুরীয়ত, বিচ্ছিন্নবাদী নেতারা। আতঙ্কবাদীরা ঘোষণা করেছিল- যদি কেউ মায়ের দুধ খেয়ে থাকে তাহলে শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেখাক। এই ঘোষণার পর অনেকে নিজেদের জম্মুকাশ্মীর যাত্রা পর্যন্ত বাতিল করে দেয়।
কিন্তু বিজেপির দুই নেতা আতঙ্কবাদীদের এই চ্যালেঞ্জকে স্বীকার করে নেয়। কন্যাকুমারী থেকে যাত্রা শুরু করে ২৬ শে জানুয়ারি জম্মু পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে লাল চক পৌঁছানোর পর পুরো ১৫ মিনিটের কার্যক্রমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং রাষ্ট্রগান গাওয়া হয়।
লাল চকে ১৫ মিনিট কার্যক্রম চলার সময় আতঙ্কবাদীরা ৫ বোমা বিস্ফোরণ করে। কিন্তু পতাকা উত্তোলনকারী ব্যাক্তির সাহসের উপর প্রভাব ফেলতে ব্যার্থ হয় আতঙ্কবাদীরা। কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর পদযাত্রা করা হয় এবং তারপর ওই দুই রাষ্ট্রবাদী দেশভক্ত মানুষ স্থান ত্যাগ করেন।
আর আজ আপনাদের কি মনে হয়, ৪৫ জন বলিদানি জওয়ানের জন্য চুপচাপ বসে থাকবেন। যদি আপনি মনে করেন যে ৪৫ জন জওয়ান বলিদানি হওয়ার পরেও ওই ব্যক্তি চুপচাপ বসে থাকবেন তাহলে আপনি মূর্খ এবং রাষ্ট্রবাদের আগুন সম্পর্কে আপনি অবগত নন।
ওই দুই নেতার নাম মুরলি মনোহর জোশী এবং নরেন্দ্র মোদী ছিল। পতাকা উত্তোলনের পর রাষ্ট্রগান গেয়ে তার পর পদ যাত্রা করা ব্যাক্তি আর কেউ নয়- ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছিলেন। আতঙ্কবাদীদের পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই নরেন্দ্র মোদীই বলেছিলেন – চলে আসবি ২৬ জানুয়ারি লাল চকে, সেদিনই বোঝা যাবে কে মায়ের দুধ খেয়েছে আর কে খায়নি…আমি আসছি। পুলবামা হামলার পর আজ দেশ উত্তপ্ত দেশের মানুষ পাকিস্থানের উপর স্ট্রাইক চাইছে। দেশের মানুষের মনে আগুন জ্বলছে, কিন্তু ভরসা রাখুন উনার মনে আপনার থেকে বেশি আগুন জ্বলছে।
from India Rag Bengali : Bengali News, বাংলা খবর, Bangla News, Bangla Khobor, 24 Ghanta, ei samay, ebela https://ift.tt/2SW8T20
Bengali News